উদ্যান তলে by মেহেদী সবুজ

Song Title: উদ্যান তলে
Artist/Singer/Band: মেহেদী সবুজ
Album Name/Movie Name: N/A
Lyricists/Song Writer Name: মেহেদী সবুজ
Published Year: ২৭/০৫/২০০৭ইং
Collected From: Self Diary

Website: bangladeshnews24.org

Lyrics Body:
উদ্যান তলে আর মিলবে না মোহন-মালার মিলন।
আসবে না আর কোন প্রতিক্ষিত প্রহর,
থাকবে না কোন তিত্থির কাক হয়ে সুজনের পায়ের ছাঁপ।
জীবনের ইতিহাসে খোদিত থাকবে না কোন কষ্ট নামের অমৃত ভাস্কর!
জেগে উঠবে না কোনদিন প্রেম বিলাসীর জীবনী রচক।
হাটবে না কভু কোন যুগল ফাল্গুণের পথ ধরে। Continue reading

তরঙ্গে তরঙ্গে আজ যেই গীত বাজে :: চিত্তরঞ্জন দাশ

কবিঃ চিত্তরঞ্জন দাশ
কাব্যগ্রন্থঃ সাগর সঙ্গীত
কবিতাঃ তরঙ্গে তরঙ্গে আজ যেই গীত বাজে

তরঙ্গে তরঙ্গে আজ যেই গীত বাজে,
সোনার স্বপন ভরা প্রভাতের মাঝে;
সেই গীতে ভরি গেছে হৃদয় আমার,
গগনে পবনে বহে সেই গীত ধার!
কি মোরে করেছ আজ! মনখানি মম,
শত শত তন্ত্রীভরা গীতযন্ত্র সম, —
পরশি তোমার করে কাঁপিয়া কাঁপিয়া,
গরবে গৌরবে আজ উঠিছে বাজিয়া।

কোথায় রাখিব আজ এ সুখের ভার :: চিত্তরঞ্জন দাশ

কবিঃ চিত্তরঞ্জন দাশ
কাব্যগ্রন্থঃ সাগর সঙ্গীত
কবিতাঃ কোথায় রাখিব আজ এ সুখের ভার

কোথায় রাখিব আজ এ সুখের ভার,
কারে দিব আজ মোর অশ্রু উপহার!
এ অজানিত সুখ, এ দুঃখ অজানা,—
বাধাহীন এ উৎসবে মানে না যে মানা।
সকল সুখের রাশি পুষ্প হ’য়ে ফুটে,
সব দুঃখ আজ মোর গীত হ’য়ে উঠে!
বিচিত্র এ গীত লোক, পুষ্পের কানন!—
কি জানি কেমন করে কাঁপিছে এমন!—
কোথায় রাখিব বল অন্তরের ভার,
তোমার উৎসবে আজি, হে সিন্ধু আমার!

ওই তো বেজেছ তব প্রভাতের বাঁশি :: চিত্তরঞ্জন দাশ

কবিঃ চিত্তরঞ্জন দাশ
কাব্যগ্রন্থঃ সাগর সঙ্গীত
কবিতাঃ ওই তো বেজেছ তব প্রভাতের বাঁশি

ওই তো বেজেছ তব প্রভাতের বাঁশী –
আনন্দ উৎসবে ভরা! সূর্যকর রাশি
তোমার সর্বাঙ্গে আজ আনন্দে লুটায়,
উজল উছল জলে কুসুম ফুটায়!
গীতভরা স্বর্ণালোকে ফুটে পুষ্পদল,
তোমার চরণ বেড়ি করে টলমল!
তোমার সঙ্গীত আজি বিহঙ্গের প্রায়,
মাখি সে সোনার স্বপ্ন তার সর্ব গায়,
উড়িয়া বেড়ায় মোর হৃদয় আকাশে,
প্রেমের তরঙ্গে আর বসন্ত বাতাসে!

ভরিয়া গিয়াছে চিত্ত তোমারি ও গানে :: চিত্তরঞ্জন দাশ

কবিঃ চিত্তরঞ্জন দাশ
কাব্যগ্রন্থঃ সাগর সঙ্গীত
কবিতাঃ ভরিয়া গিয়াছে চিত্ত তোমারি ও গানে

ভরিয়া গিয়াছে চিত্ত তোমারি ও গানে!
আমি শুধু চেয়ে আছি প্রভাতের পানে।
কখনো বাজিছে ধীর,
কখনো গভীর,
কখনো করুণ অতি, চোখে আনে জল,
উদ্দাম উন্মাদ কভু করিছে পাগল!
তোমার গীতের মাঝে,
কি জানি কি বাজে!
তোমার গানের মাঝে কি জানি কি বিহরে,—
আমার সকল অঙ্গ শিহরে, শিহরে!
ওই তব পরাণের অন্তহীন তানে;
আমি শুধু চেয়ে আছি প্রভাতের পানে।

আজিকে পাতিয়া কান :: চিত্তরঞ্জন দাশ

কবিঃ চিত্তরঞ্জন দাশ
কাব্যগ্রন্থঃ সাগর সঙ্গীত
কবিতাঃ আজিকে পাতিয়া কান

আজিকে পাতিয়া কান,
শুনিছি তোমার গান,
হে অর্ণব! আলো ঘেরা প্রভাতের মাঝে
একি কথা! একি সুর!
প্রাণ মোর ভরপুর,
বুঝিতে পারিনা তবু কি জানি কি বাজে
তব গীত মুখরিত প্রভাতের মাঝে!

সাগর সঙ্গীত

কবিঃ চিত্তরঞ্জন দাশ
কাব্যগ্রন্থঃ সাগর সঙ্গীত
কবিতাঃ সাগর সঙ্গীত

হে আমার আশাতীত হে কৌতুকময়ি!
দাঁড়াও ক্ষণেক। তোমা, ছনে গেঁথে লই!
আজি শান্ত সিন্ধু ওই ম্লান চন্দ্র করে
করিতেছে টল্‌মল্ কি যে স্বপ্ন ভরে!
সত্যই এসেছ যদি হে রহস্যময়ি!
দাঁড়াও অন্তর মাঝে ছন্দে গেঁথে লই।
দাঁড়াও ক্ষণেক! আমি অর্ণবের গানে,
পরিপূর্ণ শব্দহীন, অন্তরের তানে,
ছন্দাতীত ছন্দে আজি তোমারে গাঁথিব
অন্তর বিজনে আমি তোমারে বাঁধিব!
তুমি কি রবেনা সেথা, হে স্বপ্ন-অঞ্চলা!
ছন্দবদ্ধ, পরিপূর্ণ নিত্য অচঞ্চলা!

(কবি) দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ

‘সাগর সঙ্গীত’ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের একটি কাব্যগ্রন্থ। রচনাকালের হিসেবে এটি তাঁর তৃতীয় এবং প্রকাশকালের হিসেবে দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। ১৯১১ সালের পূজার ছুটির সময় ইংল্যান্ড যাত্রাকালে কাব্যটি রচিত হয়। কবিতাগুলির বিষয় প্রকৃতি এবং এগুলির মধ্যে একটি অখণ্ড ভাবপ্রবাহ রক্ষিত হয়েছে। মূল গ্রন্থে কবিতাগুলির কোনো শিরোনাম নেই, এগুলি সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে। এই কাব্যের প্রথম প্রকাশক ছিলেন গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় অ্যান্ড সনস, কলকাতা। বেঙ্গল লাইব্রেরির ক্যাটালগে গ্রন্থটি সম্পর্কে লেখা হয়, ‘Lyrical poems on the Ocean and its various majestic scenes.’ অরবিন্দ ঘোষ প্রথমে ইংরেজি গদ্যে এই কাব্যের অনুবাদ করেন; পরে তিনিই শ্রীঅরবিন্দ নামে ইংরেজি পদ্যে এই কাব্যের অনুবাদ করেছিলেন। ১৯২৩-২৪ সাল নাগাদ ‘Songs of the Sea’ নামে এই ইংরেজি অনুবাদটি মাদ্রাজ (অধুনা চেন্নাই) থেকে প্রকাশিত হয়।

সংগ্রহেঃ http://bn.wikisource.org

মেঘের পরে মেঘ জমেছে

মেঘের পরে মেঘ জমেছে
লেখক:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/Rabindranath Thakur
ক্যাটাগরী: বাংলা কবিতা/Bangla Kobita

মেঘের পরে মেঘ জমেছে,
আঁধার করে আসে-
আমায় কেন বসিয়ে রাখ
একা দ্বারের পাশে।
কাজের দিনে নানা কাজে
থাকি নানা লোকের মাঝে,
আজ আমি যে বসে আছি
তোমারই আশ্বাসে।
আমায় কেন বসিয়ে রাখ
একা দ্বারের পাশে।

তুমি যদি না দেখা দাও
কর আমায় হেলা,
কেমন করে কাটে আমার
এমন বাদল-বেলা।
দূরের পানে মেলে আঁখি
কেবল আমি চেয়ে থাকি,
পরাণ আমার কেঁদে বেড়ায়
দুরন্ত বাতাসে।
আমায় কেন বসিয়ে রাখ
একা দ্বারের পাশে।

ঝর্ণা

ঝর্ণা
লেখক: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
ক্যাটাগরী: বাংলা কবিতা

ঝর্ণা! ঝর্ণা! সুন্দরী ঝর্ণা!
তরলিত চন্দ্রিকা! চন্দন-বর্ণা!
অঞ্চল সিঞ্চিত গৈরিকে স্বর্ণে,
গিরি-মল্লিকা দোলে কুন্তলে কর্ণে,
তনু ভরি’ যৌবন, তাপসী অপর্ণা!
ঝর্ণা!
পাষাণের স্নেহধারা! তুষারের বিন্দু!
ডাকে তোরে চিত-লোল উতরোল সিন্ধু|
মেঘ হানে জুঁইফুলী বৃষ্টি ও-অঙ্গে,
চুমা-চুমকীর হারে চাঁদ ঘেরে রঙ্গে,
ধূলা-ভরা দ্যায় ধরা তোর লাগি ধর্ণা!
ঝর্ণা!
এস তৃষার দেশে এস কলহাস্যে –
গিরি-দরী-বিহীরিনী হরিনীর লাস্যে,
ধূসরের ঊষরের কর তুমি অন্ত,
শ্যামলিয়া ও পরশে কর গো শ্রীমন্ত;
ভরা ঘট এস নিয়ে ভরসায় ভর্ণা;
ঝর্ণা!
শৈলের পৈঠৈয় এস তনুগত্রী!
পাহাড়ে বুক-চেরা এস প্রেমদাত্রী!
পান্নার অঞ্জলি দিতে দিতে আয় গো,
হরিচরণ-চ্যুতা গঙ্গার প্রায় গো,
স্বর্গের সুধা আনো মর্ত্যে সুপর্ণা!
ঝর্ণা!
মঞ্জুল ও-হাসির বেলোয়ারি আওয়াজে
ওলো চঞ্চলা ! তোর পথ হল ছাওয়া যে!
মোতিয়া মোতির কুঁড়ি মূরছে ও-অলকে;
মেখলায়, মরি মরি, রামধনু ঝলকে
তুমি স্বপ্নের সখী বিদ্যুত্পর্ণা
ঝর্ণা!