একতারা তুই দেশের কথা [Ektara Tui Desher Kotha] ~ Lyrics

একতারা তুই দেশের কথা
শিল্পীঃ শাহনাজ রহমত উল্লাহ
সুরকারঃ আনোয়ার পারভেজ
গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার

একতারা তুই দেশের কথা
বলরে এবার বল।
আমাকে তুই বাউল করে
সঙ্গে নিয়ে চল।
জীবন মরন মাঝে
তোর সুর যেন বাজে।
একটি গানই আমি শুধু
গেয়ে যেতে চাই।
বাংলা আমার আমি যে তার
আর তো চাওয়া নাই রে…
আর তো চাওয়া নাই।
প্রানের প্রিয় তুমি
মোর সাধের জন্মভূমি।
একটি কথায় শুধু আমি
বলে যেতে চাই।
বাংলায় আমার সুখে দুঃখে
হয় যেন গো ঠাই রে
হয় যেন গো ঠাই।
তোমায় বরন করে
যেন যেতে পারি মরে।

চল্‌ চল্ চল্ [Chol Chol Chol] ~ কাজী নজরুল ইসলাম

চল্‌ চল্ চল্
নজরুল গীতি

চল্‌ চল্ চল্
ঊর্দ্ধ গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্‌ রে চল্‌ রে চল্‌
চল্‌ চল্ চল্ ।।
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটিব তিমির রাত
বাঁধার বিন্ধ্যা চল।।

নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশশ্মান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল।।

চলরে নওজোয়ান,
শোনরে পাতিয়া কান
মৃত্যু তোরণ দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহ্বান
ভাঙ্গরে ভাঙ্গ আগল
চল্‌ রে চল্‌ রে চল্‌
চল্‌ চল্ চল্।।

এই পদ্মা, এই মেঘনা – ফরিদা পারভীন (Lyrics)

এই পদ্মা, এই মেঘনা
গীতিকারঃ আবু জাফর
সুরকারঃ আবু জাফর
শিল্পীঃ ফরিদা পারভীন
সংগীত আয়োজনঃ জানে আলম

এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা সুরমা নদী তটে
আমার রাখাল মন গান গেয়ে যায়
এ আমার দেশ, এ আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সংকটে

এই মধুমতী ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদপটে

এই পদ্মা এই মেঘনা এই হাজার নদীর অববাহিকায়
এখানে রমণীগুলো নদীর মতো, নদীও নারীর মতো কথা কয়
এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুয়ে নির্ভয় নীলাকাশ রয়েছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফোটে

কারার ঐ লৌহকপাট (Karar Oi Louho Kopat) – কাজী নজরুল ইসলাম

কারার ঐ লৌহকপাট
রচনা – কাজী নজরুল ইসলাম

কারার ঐ লৌহ–কপাট
ভেঙ্গে ফেল্‌ কর্‌ রে লোপাট রক্ত –জমাট
শিকল –পূজার পাষাণ –বেদী!
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয় –বিষাণ ! ধ্বংস –নিশান
উঠুক প্রাচী –র প্রাচীর ভেদি’।।
গাজনের বাজনা বাজা!
কে মালিক? কে সে রাজা? কে দেয় সাজা
মুক্ত –স্বাধীন সত্য কে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান প’রবে ফাঁসি? সর্বনাশী –
শিখায় এ হীন্‌ তথ্য কে রে?

ওরে ও পাগ্‌লা ভোলা, দেরে দে প্রলয় –দোলা গারদগুলা
জোরসে ধ’রে হ্যাঁচকা টানে।
মার্‌ হাঁক হায়দরী হাঁক্‌ কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক ডাক ওরে ডাক
মৃত্যুকে ডাক জীবন –পানে।।

নাচে ঐ কাল –বোশেখী, কাটাবি কাল ব’সে কি?
দে রে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি’।
লাথি মার, ভাঙ্‌রে তালা! যত সব বন্দী–শালায়–
আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা, ফেল্‌ উপাড়ি।।

একবার যেতে দেনা আমায় ছোট্ট সোনার গাঁয় (Ekbar Jete De Na Amar Chotto Sonar Gaye) – Lyric

একবার যেতে দেনা আমায় ছোট্ট সোনার গাঁয়
শিল্পীঃ শাহনাজ রহমতুল্লাহ
সুরকারঃ আনোয়ার পারভেজ
গীতিকারঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার

একবার যেতে দেনা আমায় ছোট্ট সোনার গাঁয়
যেথায় কোকিল ডাকে কুহু
দোয়েল ডাকে মুহু মুহু
নদী যেথায় ছুটে চলে আপন ঠিকানায়।।

পিদিম জ্বালা সাঁজের বেলা
শান বাঁধানো ঘাটে
গল্পকথার পানসি ভিড়ে
রূপ কাহিনীর বাটে।
মধুর মধুর মায়ের কথায়
প্রাণ জুড়িয়ে যায়।।

ফসল ভরা স্বপ্নঘেরা
পথ হারানো ক্ষেতে
মৌ মৌ মৌ গন্ধে যেথায়
বাতাস থাকে মেতে।
মমতারই শিশিরগুলো
জড়িয়ে থাকে পায়।।

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায় (Lyric)

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
শিল্পীঃ ফরিদা পারভীন
গীতিকারঃ ফকির লালন শাহ

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়ে।

আট কুঠুরী নয়
দরজা আটা মধ্যে মধ্যে
ঝরকা কাঁটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায়ে।

কপালের ফের নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার
খাঁচা ভেঙ্গে পাখিয়ামার কোন খানে পালায়।

মন তুই রইলি খাঁচার আসে
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।

জয় বাংলা বাংলার জয় (Joy Bangla Banglar Joy) – Lyric

জয় বাংলা বাংলার জয়
কথাঃ গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুরঃ আনোয়ার পারভেজ

জয় বাংলা বাংলার জয়।।
হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ এক সাথে জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়।।
বাংলার প্রতি ঘর ভরে দিতে
চাই মোরা অন্নে।।
আমাদের রক্তে টগবগ দুলছে
মুক্তির রিক্ত তারুণ্যে।।

নেই ― ভয়
হস্ত হউক রক্তের প্রখ্যাত ক্ষয়।
আমি করি না করি না করি না ভয়।
অশোকের ছায় যেন রাখালের বাঁশরী
হয়ে গেছে একেবারে স্তব্ধ।।

চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার
আর ঐ কান্নার শব্দ।।
শাসনের নামে চলে শোষণের
সুকঠিন যন্ত্র।।
শব্দের হুঙ্কারে শৃঙ্খল ভাঙতে
সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র।

আর ― নয়।
তিলেতিলে মানুষের এই পরাজয়।।
আমি করি না করি না করি না ভয়।
জয় বাংলা বাংলার জয়।।

সালাম সালাম হাজার সালাম (Salam Salam Hajar Salam) – মোহাম্মদ আবদুল জব্বার

সালাম সালাম হাজার সালাম
শিল্পীঃ মোহাম্মদ আবদুল জব্বার
গীতিকারঃ ফজল-এ-খোদা
সুরকারঃ মোহাম্মদ আবদুল জব্বার

সালাম সালাম হাজার সালাম
সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।

মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
তাদের বিজয় মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।

ভাইয়ের বুকের রক্তে আজি
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহাজনতা
কন্ঠে তাদের নব বারতা
শহীদ ভাইয়ের স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।

বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় আনে ফুলের ডালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি।
শহীদ স্মৃতি বরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।

মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
অ্যালবামঃ লুকোচুরি
সুরকারঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
গীতিকারঃ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ে বেদনার রঙ্গে রঙ্গে ছবি আঁকে।

মনে পড়ে যায়, মনে পড়ে যায়,
মনে পড়ে যায় সেই প্রথম দেখারো স্মৃতি।
মনে পড়ে যায় সেই হৃদয় দেবার তিথী।
দুজনার দুটি পথ মিশে গেলো,
এক হয়ে নতুন পথের বাঁকে

মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ে বেদনার রঙ্গে রঙ্গে ছবি আঁকে।

সে এক নতুন দেশে দিনগুলি ছিল যে মুখর কত গানে,
সেই সুর কাঁদে আজি আমার প্রাণে।
ভেঙ্গে গেছে হায়, ভেঙ্গে গেছে হায়
ভেঙ্গে গেছে আজ সেই মধুর মিলন মেলা।
ভেঙ্গে গেছে আজ সেই হাসি আর রঙ্গেরো খেলা।
কোথায় কখন কবে কোন তারা ঝরে গেলো,
আকাশ কি মনে রাখে।

মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ে বেদনার রঙ্গে রঙ্গে ছবি আঁকে।।

এক নদী রক্ত পেরিয়ে (Ek Nodi Rokto Periye) – শাহনাজ রহমতুল্লাহ

=Bangla Font=

এক নদী রক্ত পেরিয়ে
শিল্পীঃ শাহনাজ রহমতুল্লাহ
গীতিকার ও সুরকারঃ খান আতাউর রহমান

এক নদী রক্ত পেরিয়ে
বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।
না না না শোধ হবে না।
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাত কোটি মানুষের
জীবনের সন্ধান আনলে যারা
সে দানের মহিমা কোন দিন ম্লান হবে না
না না না ম্লান হবে না।।

হয়ত বা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবে না
বড় বড় লোকেদের ভীড়ে
জ্ঞানী আর গুনীদের আসরে
তোমাদের কথা কেউ কবে না।
তবু হে বিজয়ী বীর মুক্তিসেনা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।
না না না শোধ হবে না।।

থাক ওরা পড়ে থাক ইতিহাস নিয়ে
জীবনের দীনতা হীনতা নিয়ে।

তোমাদের কথা রবে সাধারণ মানুষের ভীড়ে
মাঠে মাঠে কিষাণের মুখে
ঘরে ঘরে কিষাণীর বুকে
স্মৃতি বেদনার আঁখি নীড়ে।
তবু হে বিজয়ী বীর মুক্তিসেনা
তোমাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না।
না না না শোধ হবে না।।

=English Font=

ek nodi rokto periye
banglar akashe roktim surjo anle jara
tomader ei rin kono din shodh hobe na
na na na shodh hobe na

mrittur mukhomukhi dariye
sat koti manusher jiboner sondhan anle jara
se ganer mohima kono din mlan hobe na
na na na mlan hobe na

hoyto ba itihashe tomader nam lekha robe na
boro boro lokeder vire gani ar gunider ashore
tomader kotha keu kobe na
tobu ei bijoyi bir muktisena
tomader ei rin kono rin kono din shodh hobe na
na na shodh hobe na

thak ora pore thak itihash niye
jiboner dinota hinota niye.
tomader kotha robe sadharon manusher vire
mathe mathe krishaner mukhe, ghore ghore krishanir buke
sriti bedonar akhi nire
tobu ei bijoyi bir mukti sena
tomader ei rin kono din shodh hobe na
na na na shodh hobe na